দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ ঝিনাইদহ জেলার সদরের গান্না ইউনিয়নের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গান্না ইউনিয়ন বিচিত্রা পক্ষ থেকে সমগ্র ইউনিয়নব্যাপী অসহায় মানুষদের জন্য ঘরে আগের মত বাজার সদাই আসে না। হোটেল বন্ধ, কারখানা চলে না, ভ্যানগাড়িতে ভাড়া নেই, চায়ের দোকান, মুদি সব বন্ধ। তাই বাড়ির উপার্জন করা লোকটা কাজে যেতে পারছে না। আয় রোজগার নেই। একেবারে হাতশূন্য। এর ভেতরে ঘরে কোলের বাঁচ্চা। দুধ খায়, জ্বরসর্দিতে ওষুধ লাগে প্রতিদিনই। দুধ পাচ্ছে না, মায়েরও পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নেই। এমন দৃশ্য পোড়ায়, আমরা আবেগী হয়।
করোনায় ভালো সময় যাচ্ছে না কারোরই। দুধের বাচ্চা কষ্টে থাকলে সে কষ্ট সবার মনে নাড়া দেয়। তাই ঘরবন্দী এ সকল মা ও বাঁচ্চার পাশে দাড়িয়েছে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণেরা, ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গান্না ইউনিয়ন বিচিত্রা।
সকল পর্যায়ে বড়দের খাবার নিয়ে চিন্তা সকলের কিন্তু আমরা একটু ভিন্ন চিন্তায় নিয়ে আসলাম অসহায় দরিদ্র পরিবারের দুধের বাচ্চা শিশুর জন্য কিছু করতে। গান্না ইউনিয়ন বিচিত্রা করোনা যোদ্ধা গণ শিশু ও শিশুর মায়ের পুষ্টি চাহিদার কথা চিন্তা করে কাজ করে চলেছি শিশুর যত্নে। শিশুর খাবার ও মায়ের খাবার নিয়ে ছুটে চলেছি আমরা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গান্না ইউনিয়ন বিচিত্রা। ইউনিয়নে মোট ২৬ টা গ্রাম। প্রতিটা গ্রামেই তাদের স্বেচ্ছাসেবক। দিনরাত এক করে তারা মানুষের সেবায় খেটে যাচ্ছে করোনা যুদ্ধে । পাশে পাচ্ছে ইউনিয়নের মহানুভব কিছু মানুষকে। কেউ বুদ্ধি দিয়ে, কেউ অর্থ দিয়ে কেউবা শ্রম দিয়ে সহায়তা করছে মফস্বলের তরুণ এই স্বেচ্ছাসেবক দলকে। প্রতিটা বাঁচ্চার ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গান্না ইউনিয়ন বিচিত্রার কর্মীগন।
এছাড়া, আপনার চারপাশে এমন কোনো শিশু ও মা থাকলে আমাদেরকে জানাবেন ; যারা ওষুধ ও খাবার কিনতে অসামর্থ্য। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো তাদের ঘরে খাবার কিংবা ওষুধ পৌছে দেবার।
দৈনিক প্রত্যয়/ জাতীয়/ জাহিরুল মিলন